Chokher Alo scheme: চোখের আলো প্রকল্প, বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা ।

পচিমবঙ্গ সরকার চোখের আলো প্রকল্প 2022। চোখের আলো প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রকল্পের সুবিধা।প্রকল্পে আবেদনের যোগ্যতা।প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ।আবেদন পদ্ধতি।চোখের আলো প্রকল্পের নতুন নির্দেশিকা ইত্যাদি বিস্তারিত জানতে পড়ুন।

Chokher Alo scheme: চোখের আলো প্রকল্প
 Chokher Alo scheme: চোখের আলো প্রকল্প

হাইলাইট :

  • চোখের আলো প্রকল্প 2022।
  • Deteles of chokher alo scheme 
  • চোখের আলো প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
  • চোখের আলো প্রকল্পের যোগ্যতার মানদণ্ড।
  • প্রকল্পের সুবিধা।
  • চোখের আলো প্রকল্পের প্রথম পর্যায়।

  • চোখের আলো প্রকল্পের নতুন নির্দেশিকা।

পচিমবঙ্গের রাজ্যের বাসিন্দাদের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে পচিমবঙ্গ সরকার 2021 সালের 5 জানুয়ারি 'চোখের আলো ' প্রকল্পটির কথা ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি  চোখের ছানির অপরেশন করা হয় এছাড়াও রাজ্যের দরিদ্র লোকেদের বিনামূল্যে চশমা বিতরণ করা হয়।আজকের এই প্রতিবেদন আমরা চোখের আলো স্কিম 2022 সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য যেমন এই প্রকল্প উদ্যেশে, সুবিধা গুলি, যোগ্যতা,এছাড়ও এই প্রকল্পের আবেদনের পদ্ধতি তুলে ধরবো।

 চোখের আলো প্রকল্প (Chokher alo scheme West Bengal 2022)


 চোখ শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।চোখের সাহায্যেই আমরা দেখি, পৃথিবীর যাবতীয় সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারি ।যারা চোখে দেখতে পাননা তারাই কেবল জানেন বেঁচে থাকার জন্য চোখ কতটা অপরিহার্য ।


 মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2025 সালের মধ্যে রাজের সমস্ত মানুষের চোখের চিকিৎসা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে 2021 সালে 5 জানুয়ারি 'চোখের আলো'(chokher alo ) প্রকল্পটি চালু করেন।


এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় 20 লক্ষ বেশি মানুষের বিনামূল্যে চোখের ছানির অপারেশন করানো হবে এছাড়াও প্রায় 8 লক্ষ 24 হাজার দরিদ্র মানুষদের  বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হবে।এছাড়াও স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের চোখের পরীক্ষা করে প্রয়োজনে চশমা বিতরণ করা হবে।এমনকি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আশা শিশুদের চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।


2025 সালের মধ্যে পচিমবঙ্গে রাজ্যের বয়স্ক থেকে শিশু সকলরে চোখের দৃষ্টি স্বচ্ছ ও রোগমুক্ত  করার উদ্যেশেই এই প্রকল্পটি চালু হয়।এই প্রকল্পের লোগো এবং নামকরণ দুটিই করেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Deteles of chokher alo scheme :


প্রকল্পের নাম 

চোখের আলো প্রকল্প 

কে চালু করেছিলেন 

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পচিমবঙ্গ সরকার 

কবে চালু করা হয়েছে 

5 জানুয়ারি 2021

উদ্দেশ্য 

বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও অন্ধত্ব দূর করা 

সুবিধাভোগী 

পচিমবঙ্গের বয়স্ক থেকে শুরু করে শিশু পযন্ত সমস্ত নাগরিক।

সুবিধাভোগীর সংখ্যা 

প্রায় 20 লক্ষ 

অফিসলিয়া ওয়েবসাইট 

http://wbhealth.gov.in


চোখের আলো প্রকল্পের উদ্দেশ্য :


  • পচিমবঙ্গ রাজ্যে এমন অনেক বয়স্ক নাগরিক রয়েছেন যাদের দুর্বল আর্থিক অবস্থার জন্য চোখের চিকিৎসা করাতে পারেন না এর ফলে তাঁদের দৃষ্টিশক্তি ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পরে সেই সব বয়স্ক লোকেদের চোখের চিকিৎসা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে এই প্রকল্প চালু করা হয়।


  • পচিমবঙ্গ সরকার 'সকলের জন্য চক্ষু স্বাস্থ '(eye health of all bye 2023 to 2025)'এই বক্তব্য কে সামনে রেখে 2025সালের মধ্যে সমস্ত রাজ্যবাসীর চোখের যত্ন নেয়াই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।


  • রাজ্যের নবীন থেকে প্রবীণ এবং নবজাতক অথবা সকলের চোখের চিকিৎসা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা।

চোখের আলো স্কিমের সুবিধা :

  • বয়স্কদের ছানি অপরাশন থেকে শুরু করে নবীন শিশুদের চোখের সবরকম সমস্যা জনিত চিকিৎসা করা হয়।


  • এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় 20 লক্ষ বেশি মানুষকে বিনামূল্যে চোখের পরীক্ষা ও চোখের ছানি অপরাশন করানো হয়।


  • 60 বছরের উর্দ্ধে ব্যাক্তিদের বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করানো হয়।


  • পচিমবঙ্গের রাজ্যের দরিদ্রদের বিনামূল্যে চশমা বিতরণ করা হবে।এই স্কিমে প্রায় 8 লক্ষ 24 হাজার দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে চশমা প্রদান করা হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।


  • এই প্রকল্পে পচিমবঙ্গ রাজ্যের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের চোখের পরীক্ষা করানো হয় এবং 4লক্ষ ছাত্র ছাত্রী দের বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হবে।


  • এছাড়াও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যাওয়া শিশুদের চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় প্রয়োজনে চিকিৎসা করা হয়।


  • এই প্রকল্পের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার জন্য  300 জনের বেশি ডাক্তার ও 400 জনের বেশি Optometry technicians নিযুক্ত করা হয়েছে।


এই প্রকল্পের যোগ্যতার মানদণ্ড :


  •  বয়স্ক নাগরিক থেকে শুরু করে ছোট্ট শিশু সবাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।

  • আবেদনকারীকে পচিমবঙ্গে স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

  • এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র চোখের সম্পর্কিত সমস্যার জন্য।



চোখের আলো প্রকল্পের প্রথম পর্যায় :


এই প্রকল্পটি সমস্ত বয়স্ক নাগরিক ও ছাত্রছাত্রীদের চোখের যাবতীয় সমস্যায় সাহায্য করার জন্য দুটি পর্যায়ে কাজ করে। 5 জানুয়ারি 2021 সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে 1200 টি  গ্রাম পঞ্চায়েত ও 120 টি শহরের প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রকে 'চোখের আলো' প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মোট 341 সরকারি ক্যাম্পের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করা হবে।


দ্বিতীয় পর্যায়ে সব গ্রাম পঞ্চায়েত ও শহরের স্বাস্থ কেন্দ্রকে আনা হবে এই প্রকল্পে।2025 সাল পৰ্যন্ত চলবে এই প্রকল্প,তবে পরবর্তীতে সময় বাড়াতে পারে রাজ্য।


 চোখের আলোয় প্রকল্পের পাশাপাশি পচিমবঙ্গ সরকার 10 কোটি টাকা খচর করে উত্তরবঙ্গের মেডিকেল কলজে ও হাসপাতালে একটি অত্যাধুনিক পরিকাঠামো যুক্ত মেডিকেল ট্রমা কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে 20 টি বেড 2 টি অপরাশন থিরেটার রয়েছ এছাড়াও থাকবে 10টি  রিকভারি বেডরুম।


প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট :


  • আধার কার্ড

  • ভোটার কার্ড

  • রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট

  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি

  • মোবাইল নম্বর


চোখের আলো প্রকল্পের নতুন নির্দেশিকা : নতুন প্রকল্প - পশ্চিমবঙ্গ


রাজ্য সরকারের চোখের আলো প্রকল্পটি চালু হলেও সাধারণ মানুষের কাছেতা তেমন সারা ফেলেনি।স্বাস্থ দপ্তরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে যে চোখের আলো কর্মসূচি তার লক্ষ্য মাত্রার 50%পুরণ করতে পারেনি।


এই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করার জন্য আশা কর্মীকে যুক্ত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে নবান্ন থেকে।আশা কর্মীদের মোটিভোটার বা মোবিলাইজার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাস্থদপ্তরের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী যেসব মানুষ দৃষ্টিহীনতায় ভুগছেন তাঁদের শনাক্ত করে চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যাবস্থা করতে হবে আশা কর্মীদের।এরজন্য প্রতিরোগী পিছু আশা কর্মীদের 350 টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে।


চোখের ছানি অপারেশনের জন্য কোনো রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বা সেলাই কাটাতে একাধিকবার হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশাকর্মীদের মাথা পিছু 150 টাকা পযন্ত দেওয়া হবে বলে জানায় নবান্ন ।এছাড়াও ছানি অপরাশন ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য প্রতিটি জেলায় একটি টাস্ক ফোর্ড গঠন করা হবে।এবং আগামী 30ই নভেম্বর এর মধ্যে বাকি থাকা সব রোগীদের ছানি অপরাশন সেরে ফেলতে বলা হয়েছে নির্দেশিকা অনুযায়ী।পাশাপাশি প্রতিটি সার্জনকে সপ্তাহে অন্তত তিনটি করে ছানি অপরাশন করার কথা বলা হয়েছে।


Comments Below

If You Any Questions or Any Suggestions


কোন মন্তব্য নেই

Sarkari Suvidha Featured

১০০ দিনের কাজের টাকা কবে ঢুকবে তারিখ ঘোষণা করলো রাজ্যসরকার । 100 Day Work Payment Date West Bengal

100 Day Work Payment Date West Bengal : ১০০ দিনের কাজের টাকা কবে ডুকবে তা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আগামী ২১ ফেব্রুয়ারী...