তাহলে, সঠিক ওয়েবসাইটে এ এসেছো Sarkarisuvidha আমরা 15 আগস্ট 2024 স্বাধীনতার 76 তম মহোৎসব উপলক্ষে আপনাদের জন্য ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য এর জন্য কিছু তথ্য ও আলোচনা নিচে করছি। এই আলোচনা তোমাদের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্যের সাহার্য্য করবে। স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা নিচে বলা হলো ।
হাইলাইটস
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ২০২৪
১৫ আগস্ট ২০২৪ স্বাধীনতার ৭৬ তম মহোৎসব
ভারতের জাতীয় পতাকা রং ও অর্থ।
স্বাধীনতা দিবস এর পটভূমি।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উজ্জাপন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ২০২৪ - Independence Day Speech in Bengali 2024
নমস্কার 🙏
এখানে উপস্থিত সকলকে আমার তরফে নমস্কার, ও ভালোবাসা।
বন্দে মাতরম,
ভারতমাতা কী? জয়।
আজ ১৫ আগস্ট ২০২৪ স্বাধীনতার ৭৬ তম মহোৎসব (Independence Day of India ) । ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছে এবং তাই আজকে আমরা ভারতের স্বাধীন নাগরিক।
কিন্তু এই লড়াই, অনেক কষ্টের ছিল এবং যারা আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন সেই সমস্ত বীর মহা সংগ্রামীদের আজকে আমরা শতকোটি প্রমান জানাই।
গান্ধীজী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, ভগৎ সিংহ, ঝাঁসির রাণী লক্ষ্মীবাই, মাতঙ্গিনী হাজরার,সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, জোহর লাল নেহরু, থেকে শুরু করে বাবাসাহেব আম্বেদকর, মৃত্যুঞ্জয় ক্ষুদিরাম এবং হাজারো হাজারো সাধারণ মানুষ সংঘবন্ধ লড়াই এনেছে ভারতের স্বাধীনতা।
আজকের এই দিনে ওই সমস্ত মহান বীরদের স্বরণ করার দিন। এবারের 76 তম ভারতের স্বাধীনতা দিবস, ১৯৪৭ থেকে ২০২৪।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দিল্লির লালকেল্লায় ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জোহর লাল নেহরু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই থেকেই ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস হিসাবে মানা হয় ও "তেরঙা" পতাকা স্কুল, কলেজ, যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী দপ্তর, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িতে বাড়িতে, হাতে হাতে এই দিনে জাতীয় পতাকা দেখতে পাওয়া যায়।
কিন্তু আমাদের এই পতাকার আসল অর্থ ও ব্যবহার জানতে হবে। এই পতাকা যেন আমাদের মনের, ঋদয়ের পতাকা হয়।
চিত্র : ভারতের জাতীয় পতাকা |
উপরে গেরুয়া রঙ নিচে সবুজ মাঝে সাদা এবং সবার মাঝে অশোক চক্র - এই নিয়েই আমাদের জাতীয় পতাকা। প্রত্যেকটি রঙের এক একটি অর্থ আসছে….
গেরুয়া : গেরুয়া রঙ ত্যাগ ও বৈরাগ্যের প্রতীক।
এরই মধ্যেই আমরা খুঁজে পাই স্বাধীনতা সংগ্রামী মানুষদের ত্যাগ ও বৈরাগ্যেকে।
সাদা : আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও স্বভাবের পথপ্রদর্শক সত্যপথ ও আলোর প্রতীক।
সাদা শান্তির ও সৎপথের জীবনকে নিয়ে যাওয়ার প্রতীক।
সবুজ : সবুজ মৃত্তিকা তথা সকল প্রাণের প্রতীক। সবুজ মানেই মৃত্তিকা ফসল যা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সবুজ প্রাণকে আমাদের বুঝতে হবে।
অশোক চক্র : অনুশাসনের প্রতীক ও গতিশীলতার প্রতীক। অশোকচক্র গতিশীলতার প্রতীক এগিয়ে যাওয়া, কখনো থেমে না থেকে এগিয়ে যাওয়া।
এই হল আমাদের দেশ ভারত মাতার দেশ। হিন্দু মুসলিম, শিখ সমস্ত ধর্মকে সমান সন্মান ও ভালোবাসে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা - ভারতের স্বাধীনতার পটভূমি নিয়ে কিছু কথা
স্বাধীনতার পটভূমি : কিভাবে আমাদের দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে?
1946 সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময় কালে ব্রিটিশ শাসনের অর্থবেবস্তা ভেঙে পরে অন্য দিকে আমাদের বীরনেতা স্বাধীনতা জন্য লড়াই করে যাচ্ছে সঙ্গে গোটা ভারতবর্ষের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ। ব্রিটিশ সরকার বুঝতে পারে, এবারে ভারতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বা অর্থবল ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী হারিয়ে ফেলেছে। তাঁরা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৪৭ সালের শুরুর দিকে ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে, ১৯৪৮ সালের জুন মাসে ভারতীয়দের দেশে শাসনের ভার দিবে কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ধর্ম দাঙ্গা ব্রিটিশ সরকার তা সামলাতে পারেনি।
মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি সাত মাস এগিয়ে আনেন। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের প্রস্তাব মেনে নেন পাকিস্তান ও ভারত দুইটি স্বাধীনতা দেশে ভিভোক্ত হয়। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন জোহর লাল নেহরু।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দিল্লির লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী জোহর লাল নেহরু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ভারতীয় সংবিধান সৃষ্টি হয়, যার ভিক্তিতেই আজও ভারত দাঁড়িয়ে।
তাই, ভারতকে জানতে হলে একদিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আমাদের জানতে হবে এবং জানতে হবে সংবিধান অন্যদিকে জানতে হবে ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে।
সকলকে ধন্যবাদ আমার এই ছোট্ট ব্ক্তৃতা শোনার জন্য। ভারত আমাদের মাতা, আমরা ভারত মাতার সন্তান; মায়ের মতোই আমরা ভারতীকে ভালোবাসবো ও এগিয়ে যাবো।
নমস্কার,🙏
জয় হিন্দ,
বন্দে মাতরম,
ভারতমাতা কী? জয়।
-----------------------------------------------------
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য ২০২৪ এর জন্য আরও কিছু তথ্য জানতে পড়ুন :
লেখাটি ভালোলাগে অবশ্যই শেয়ার করেবে তোমার বন্ধুদের সাথে। সকলেই পড়াশুনা ভালো করে চালিয়ে যাও, তোমরাই আগামীর দিনে ভারতবর্ষকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অশোক চক্রের মতো কখনোই না থেমে যতোই বাধা আসুক জীবনে এগিয়ে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই